ইন্টারনেটের অন্ধকার জগত থেকে শিশুদের বিটিআরসির নির্দেশ

নিত্যদিনের কাজে এখন ইন্টারনেট অপরিহার্য অংশ । চোখের সামনে অনলাইনে খুলে যাচ্ছে অনেক অজানা বিস্ময় । একই সাথে বাড়ছে ঝুকি বিশেষ করে পর্ণ সাইট বিডিং সাইট ও ক্ষতিকর গেমস এর ব্যবহারে চরম ঝুকিতে আছে শিশুরা । না বুঝেই ইন্টারনেটের অনিরাপদ ব্যবহার এর ফলে শিশুরা জড়িয়ে পড়ছে অন্ধকার ফাদে । এইসব ঝুকি থেকে কিভাবে শিশুদের নিরাপদ রাখা যায় সেই বিষয়ে নানা দিক নির্দেশনা নিয়ে ফেসবুক লাইভ এ আসেন বিটিআরসি চেয়্যারম্যান ।
ইন্টারনেট সংযোগ নেওয়ার সময় ক্ষতিকর সাইট ও কন্টেন্ট ব্লক করার প্রযুক্তি বুঝে নেওয়ার আহব্বান জানান অভিভাবকদের । তিনি জানিয়েছেন সার্ভিস প্রোভাইডার কে জানাতে যে তার বাসায় ছোট ছেলে মেয়ে আছে তারা যাতে অনৈতিক কোন কন্টেন্ট দেখতে না পারে সেই প্রযুক্তি আপনারা সেট করে দেন । সব প্রোভাইডার এর এইগুলো দায়িত্ব সংযোগ দেওয়ার সময় আপনাকে এইগুলো জানানো ।
ইন্টারনেট বা মোবাইলে এর সাইবার বুলিং এর শিকার হয়ে কখনো আত্মহত্যা করছে অনেক শিশু । তাই জটিল কোন ডিভাইস শিশুদের না দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খত্রে খোলা মেলা আলোচনা ও নজরদারির ও কথা জানান তিনি । বিটিআরসি এর হিসাব অনুযায়ী দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার কারীর সংখ্যা ১০ কোটি ৬৪ লাখ ।
ইউনিসেফ এর এক জরিপ অনুসারে ২৫ ভাগ শিশু ১১ বছর বয়সের আগেই ইন্টারনেট জগতে প্রবেশ করছে । এই কারণে শিশুদের সাইবার বুলিং এর শিকার দিন দিন বেড়েই চলেছে আর এর মাধ্যমে শিশুদের আত্মহত্যা এর প্রবনতা দিন দিন বেড়েই চলেছে । তাই অভিবাবকদের উচিৎ ছেলেমেয়েদের চোখে চোখে রাখা তারা যেনো খারাপ কিছুতে জড়িয়ে না পড়ে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *