সেন্টমার্টিনের সৌন্দর্য্য রূপ নিচ্ছে সত্যিই কি ডাস্টবিনে

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিনে বঙ্গোপসাগরের বুক চিরে জেগে উঠা একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমারটিন । প্রকিতির টানে প্রতি বছর নভেম্বর থেকে মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত মিলে এখানে যাবার টিকিট । মাস মাস ৬ লাখ পর্যটক দিয়ে হাজির হোন ছোট্ট এই দ্বীপে । প্রকিতির এমন সান্নিধে ঠিক যেমন টি থাকার কথা সেন্টমারটিন এর বাস্তবতা কিন্তু পুরোটাই উল্টো । একটা হিসেব ধরা যাক প্রতি পর্যটক গড়ে যদি দুটি পানির বোতল ব্যবহার করেন বছর শেষে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ১২ লাখ ।
এর সঙ্গে চকলেট ও অপচনশীল মোড়ক ধরলে সেই হিসেব হবে শত শত টন । তাহলে এখন প্রশ্ন জাগতেই পারে এতো ময়লা যাচ্ছে কোথায় এই বর্জ্য পরিষ্কারে ইউনিয়ন পরিষদের নেই কোন উদ্যোগ একে একে খালি জায়গা আর পুকুর ভোরাট হচ্ছে প্লাস্টিকে । স্থানীয় প্রশাসন বলছে এখানকার ময়লা অন্য কোন জাইয়গায় ফেলতে চাইলেও সাড়া মিলছে না টেকনাফ থেকে ।
তাদের আশংকা এই অবস্থা চলতে থাকলে একদিন হয়তো প্রায় হারাবে সেন্টমারটিন । এই সেন্টমারটিন বাংলাদেশ কে দুই হাত ভরে দিয়েছে কিন্তু তার জন্যই এতো অবহেলা কেন । এখনই সময় এই প্রবাল দ্বীপকে বাচানোর নাহলে খুব তাড়াতাড়ি এই দ্বীপ হারাবে তার সুন্দরতা । হয়তোবা একদিন এই দীপটি হারিয়ে যাবে বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে ।
সেন্টমারটিন এ আসা সকল পর্যটকদের উচিৎ এখনাকার পরিবেশ এর কথা চিন্তা করে তাদের ময়লা তারা বাহিরে না ফেলে নিজের ব্যাগে করে নিয়ে কক্সবাজারে ফেলা । এতে করে আপাদত সাময়িক ভাবে সেন্টমারটিন কে বাচানো যেত । কিন্তু এইভাবেই চলতে থাকলে একদিন সেন্টমারটিন হারাবে তার সৌন্দর্যতাকে আর আমরা হারাবো আমাদের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমারটিন ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *