বিশ্বে প্লাস্টিক পণ্য এর বাজার প্রায় সাড়ে ৬ হাজার কোটি ডলারের । এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ও রপ্তানি মিলিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্য ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি ডলারের মধ্যে ঘুরপাক খায় । বাংলাদেশ মাথাপিছু সাড়ে ৭ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহার করে যেখানে আমেরিকা ১১০ কেজি ও সিংগাপুর ১৩৫ কেজি । ধারণা করা হয় অভ্যন্তরীণ ব্যবহার ২০৩০ সালে বেড়ে হবে মাথা পিছু ৩০ কেজি । ইউরোপ আমেরিকা ভারত সহ বিভিন্ন দেশে প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ ।
প্লাস্টিক খাতে অবদান বাড়াতে শিল্প পল্লি গড়তে ৫০ একর জমি দেওয়া হয়েছে । বর্তমান ১০০ কোটি ডলারের রপ্তানি কয়েক বছরে দিগুন করার ভাবনা ব্যবসায়ীদের । বাণিজ্য মন্ত্রী জানান পণ্য বহুমুখী করার অংশ হিসেবে প্লাস্টিক খাতের সম্ভবনা কাজে লাগানো সব রকম সহায়তা করতে প্রস্তুত সরকার । প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার বাড়ালে পরিবেশের ক্ষতি ঠেকানোর কথাও চিন্তা করার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের ।
অর্থনীতিবিদ নাজনিন আহমেদ বলেন প্লাস্টিক খাতের সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে এই খাতের বিকাশ এবং এই খাতের জন্য বিভিন্ন রকম সুযোগ সুবিধা যেমন দেওয়া দরকার পাশাপাশি এই খাতের যে রিসাইক্লেইং ব্যাবস্থা এবং এই খাতের প্রোডাক্ট গুলোর মধ্যে উপাদান সামগ্রী যেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলো কত খানি স্বাস্থ্য সম্মত সেই বিষয়গুলো বিবেচনায় আনতে হবে ।
দেশের ছোট বড় ৫০০০ এর বেশি প্লাস্টক কারখানা গড়ে উঠেছে । কর্মসংস্থান হয়েছে ১২ লাখ মানুষের । এই খাত থেকে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা । তাই এই খাতের দিকের সরকারের আলাদা একটি দৃষ্টি রয়েছে । এরই সুবাদে আসছে বছরে সরকারি বাজেটে থাকছে এই খাতের বাজেট । আশা করা যাচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর সবেচেয়ে বেশি প্লাস্টিক রপ্তানি কারক দেশ হবে ।