আজ সোমবার ভারত সফরের অংশ হিসেবে সকালে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কিন্তু এ সফর থেকে বাদ পরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।কিন্তু কেন বাদ পরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ? এ নিয়ে ঘনিষ্ট জনেদের দাবি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন অসুস্থতার কারনে ভারত সফরে যেতে পারেন নি।তাদের মতে- ড. এ কে আবদুল মোমেন শারীরিক অসুস্থতার কারনে সফরে যাননি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে গত রোববার তিনি নিজেই জানান তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথে ভারত সফরে যাচ্ছেন।
যদিও নিয়ম অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর যখন কোন রাষ্ট্রীয় সফরে যাবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্যই তার সফরসঙ্গী হন।কিন্তু কিছুদিন যাবত ওনি কিছু বেফাশ মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছেন। তার কিছু মন্তব্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলেছে এবং প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।বিষেষ করে শেখ হাসিনা সরকার কে টিকিয়ে রাখতে ভারতের কাছে সুপারিশ করার বিষয়টি কঠোর সমালোচিত হয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কিছুদিন ধরে সমালোচিত মন্তব্যের জের ধরেই তাকে ভারত সফর থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে দাবী করেছেন অনেকেই। অনেকেই ধারনা করছেন
এ সফরে আলোচনায় থাকবে রাজনৈতিক ইস্যু,সম্ভাব্য চুক্তি ও স্বাক্ষর ।চিনের প্রতি বাংলাদেশের ঝুকে যাওয়ার বিষয়টি প্রাধান্য পেতে পারে।এবার তিস্তা চুক্তি নিয়ে কোন ধরনের বৈঠক হবেনা বলে জানা গিয়েছে।তবে কুশিয়ারার পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি হতে পারে বলে জানা গিয়েছে, গত মাসে ভারতে অনুষ্ঠিত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে তা স্পষ্ট হয়েছে।
আগামী বছরের শেষ দিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনের আগে এটি শেষ ভারত সফর হিসেবে মনে করা হচ্ছে।দু দেশের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য এই সফর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্যে খুব ই গুরত্বপূর্ন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা ।
সাম্প্রতিক কালে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে মোমেনের একটি বক্তব্য নিয়ে দুই দেশের সরকার ই বিব্রত বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহল।
এবারে বিভিন্ন চুক্তির মধ্যে প্রাধান্য পাবে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় এবং ভারত বাংলাদেশকে ৫০০মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋনের সহায়তা দিবে এবং ভারত থেকে সামরিক সরঞ্জাম কিনবেন বাংলাদেশ।
এ সফরের সবচাইতে গুরত্বপূর্ন হচ্ছে বানিজ্যা চুক্তি।