ব্রহ্মপুত্র নদী এখন যেন কেবলই এক মরা খাল

স্রোত নেই ব্রহ্মপুত্রে এর মধ্যেই হচ্ছে ফসলের চাষাবাদ । উত্তরের জেলা গাইবান্ধার ফুলছড়ি অংশে ব্রহ্মপুত্র নদ । পানি শুন্য প্রায় ব্রহ্মপুত্রে চলছে ঘোড়ার গাড়ির । অভ্যন্তরীণ নৌরুট বন্ধ হওয়ার পর পানির অভাবে ঢেলেঢুলে চলছে আন্তজেলার কয়েকটি নৌকা । যোগাযোগ ব্যবস্থার সাথে সংকটাপণ্য কৃষি জীব বৈচিত্র্য আর আর জীবন জীবিকা । পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে দিগুন গয়ে এলাকা ভেদে ব্রহ্মপুত্রের প্রস্থ ঢেকেছে ১৬ থেকে ১৮ কিলোমিটার এ ।
প্রতি বছর সাড়ে ৭২ মেট্রিক টন পলিবহন করতে গিইয়তে কমেছে গভীরতাও । শত শত চর দ্বীপচর জেগে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য চ্যানেল । ১৯৮৮ সালের বর্ষায় ব্রহ্মপুত্র নদে সবচেয়ে বেশি পানি প্রবাহ ৯৮ হাজার লিটার করা হলেও এবার শুষ্ক মৌসুমে মানুষ পায়ে হেটে পাড়ি দিচ্ছে এই নদ । তবে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্রহ্মপুত্র নদের প্রস্থ কমানোর চিন্তা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ।
১৯৩৮ সালে গাইবান্ধার তিস্তা মুখ ঘাটে ফেরি চলাচল শুরু হলে সময় ও খরচ বাচাতে নৌ পথে যাতায়াত করত ৮ জেলার মানুষ । নাব্য সংকটের কারণে ঘাট স্থানান্তর করা হলেও একই কারণে ২০০৪ সালে বন্ধ হয় এই রুটে লঞ্চ সার্ভিস । এর পর থেকেই এই রুটে আর কখন লঞ্চ বা ফেরি চলাচল করেনি ।
তারপর থেকেই এই এলাকার মানুষের দুর্ভোগ শুরু হয় কেননা লঞ্চ বা ফেরি না চলাচল করায় অনেক মানুষ এর আয়ের উৎস বন্ধ হয়ে যায় আবার অনেক মানুষের । আর ধীরে ধীরে মানুষ শহর মুখী হয় এবং খালি হয় ঐ এলাকা সাথে এই নদের পানি ও । এর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড দায়ী করছে টানা কয়েকবারের বন্যা এবং এর ফলে ভাঙ্গন কে। কেননা এই ক্রমাগত ভাঙ্গনে নদীর দুই পার ভেঙ্গে বড় হয়েছে তাই তৈরি হয়েছে অসংখ্য চ্যানেল ।
 
 
 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *